গাদ্দাফি পন্থি সৈন্যরা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালিয়েছে

লিবিয়া সরকারের জঙ্গি বিমানগুলি পুর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাস লানুফ এ , তেলের স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হেনেছে। তারা মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে  চাইছে যে বিরোধী শক্তি তাদেরকে  বিতাড়িত করতে সেখানে প্রচন্ড বোমা বিস্ফোরণ করে।

যুদ্ধজাহাজগুলি আজ আস সিদর তেল স্থাপনার ওপর আঘাত হানলে , চারিদিকে আগুন ও ধোঁয়া দেখা দেয়। তাৎক্ষনিক ভাবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লিবিয়ার সরকারী বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলির কাছাকাছি পশ্চিমের জাউইয়া শহরের অবরোধে আরও কড়াকড়ি এনেছে।

এ দিকে তুরস্কের রাষ্ট্রপরিচালিত  টি আর টি টেলিভিশনে এক ভাষণে গাদ্দাফি বলেন যে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলি , বিমান উড়াল মুক্ত আকাশ সীমা আরোপ করতে চাইলে লিবিয়ানরা , পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরবে। তিনি তার পুর্বেকার দাবি , যে লিবিয়ায় সরকার বিরোধী অভ্যূত্থানের সঙ্গে বিদেশিরা জড়িত আছে , তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে বিশ্ব এখন দেখছে যে লিবিয়ায় যা ঘটছে , তেমনটি ঘটেছে আলজিরিয়ায় , বুগ হারামে , ফাতাহ আল ইসলামে এবং আফগানিস্তানে । এরা সকলেই বিন লাদেন এর চক্র এবং আল ক্বায়দা। নিজের দেশের এই অবস্থার কারণে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতেরা পদত্যাগ করছে।

গাদ্দাফি রাষ্ট্রীয় বেতারে দেওয়া এক ভাষণেও লিবিয়ার পুর্বাঞ্চলকে তার কথায় আল ক্বায়দা প্রভাবিত বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানান।

ও দিকে একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা গাদ্দাফির উদ্দেশ্যে  খোলাখুলি বলেনআপনার জন্যে লিবিয়ায় কোন স্থান নেই। গাদ্দাফি , খেলা শেষ হয়ে গেছে। লিবিয়ায় রক্তপাত বন্ধ করার শ্রেষ্ঠ উপায় হচেছ গাদ্দাফির পদত্যাগ

 

লিবিয়ার সীমান্ত পারাপারের ঐ জায়গাগুলি হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের ভীড়ে ভরে গেছে। অনেকে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন , আবার আন্তর্জাতির্ক ত্রঅণ কর্মকর্তারা বলছেন যে যে অনেকে লিবিয়ার ভেতরেও আটকা পড়েছেন।

সর্বসাম্প্রতিক সংবাদে অভিবাসীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে মি গাদ্দাফির প্রতি অনুগতরা তাদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেছে এবং সৈন্যরা তাদের অর্থ , সেল ফোন এ সব কিছু কেড়ে নিয়েছে।

বাংলাদেশের যে প্রায় ষাট হাজার লোক লিবিয়ায় কাজ করেছেন , তাদের অনেকেই এখন সীমান্তবর্তী শহরগুলিতে পালিয়ে এসছেন। বাংলাদেশ সরকার তাদের দেশে ফেরত আনতে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্যে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে , সে সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগকে  , বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেন :

বিদেশি রাষ্ট্র ও সামরিক জোটগুলি লিবিয়ার সঙ্কটের সম্ভাব্য জবাব নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে।

নেটোর প্রধান Anders Fogh Rasmussen বলছেন যে বৃহস্পতিবার নেটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ব্রাসলস এ বৈঠকে বসলে লিবিয়া সঙ্কট হবে আলোচ্যসূচির শীর্ষে  ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেইটস ও এই বৈঠকে যোগ দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন যে লিবিয়ায় মানবিক সাহায্যের ব্যাপারে , যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রস্তুতি সম্পর্কে মি গেইটস মন্ত্রীদের অবহিত করেছেন।

ও দিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করছে যেখানে লিবিয়ার অাকাশ সীমায় বিমান উড়ান নিষিদ্ধ এলাকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। ইটালি বলছে জাতিসংঘের যে কোন সিদ্ধান্তের পেছনে তারা একটা মূখ্য ভুমিকা রাখতে চায়।

[Read More]

—–
Source: VOA News: Economy and Finance


 

Comments are closed. Please check back later.

 
 
 
1